Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

ইবনে আব্বাস মাদরাসায় ফতোয়ার আবেদন

আবেদনের উদ্দেশ্যঃ

যেহেতু আমি ও আমার পরিচিত জনদের সবাই প্রায় নিশ্চিত আমার ব্রেন, মন ও শরীরকে পরী ঘ্রাস বা আসর করে আছে। তাই মানুষের সাথে আমার ব্যবহার; নিজ চোখ, মুখ, হাত ও পায়ের এবং আমার শরীরের বিভিন্ন উপস্বর্গ, নিজ ব্রেন থেকে নির্গত বিভিন্ন সিগনাল, ইশারা-ইঙ্গিত এনালাইসিস করে বুঝতে পেরেছি যে, আমি যদি আমার সাথে থাকা এ পরীটিকে বিয়ে করি এবং এর মাধ্যমে ইসলামী শরিয়তে বিশেষ কারো ক্ষেত্রে জ্বীনের সাথে মানুষের বিয়ের বৈধতার দ্বার উন্মোচিত হয়; এবং এর ফলে আমার পরী/জ্বীন, তার আলাদা শরীরে, মানুষের বেসে, আমার পাশে/নিকটে ওপেন হতে পারে; হয়তো আমার পরীটি এটি চায়। এবং তাদের অন্যান্য অধিকার আদায় করে দিতে পারলেও হয়তো তারা মানুষের উপকার করার লক্ষে, আমার কমান্ড মেনে আমার নিকট ওপেন হতে পারে। তাই এ উদ্দেশ্যে, অজানা মাসআলা জানার জন্য বা ডকুমেন্টারী হিসেবে প্রমাণ সংরক্ষণ বা আমার প্রচার বা আমার সাপোর্টার বা আমার সমর্থক সংগ্রহের উদ্দেশ্যে কিছু প্রশ্নের ইসলামি সমাধান, মানে ফতোয়া জানতে, এবং এ বিয়ে-শাদী বিষয়ের অনুমতি পেতে; এ সকল প্রশ্নপত্র সহ উপরোক্ত মাদরাসায় গমণ। 

যাত্রার তারিখঃ ১২ মে ২০২৫ খ্রি.

এ দিন মুফতি সাহেব হুজুরের সাথে দেখা করে দরখাস্তটি জমা দিয়ে আসা হয়। অবশ্য মুফতি সাব হুজুর বলেছেন, তাদের বড় হুজুর, মুফতি আহমদ উল্যাহ হুজুর যদি রাজি থাকে, তবেই কেবল এ আবেদন পত্রের প্রতি উত্তর/জবাব দেয়া হবে। নতুবা নয়। আবেদন পত্রটি নিম্নরূপ-

তারিখঃ ১২/০৫/২০২৫

মাননীয়,
প্রধান মুফতি,
ইবনে আব্বাস (রাঃ) মাদরাসা,
কোর্ট মসজিদ, ফেনী সদর,
ফেনী, বাংলাদেশ।

বিষয়ঃ আমি বুঝতে পারছি যে, একজন মহিলা জ্বীন, মুসলিমদের প্রয়োজনে ও মানব জাতির কল্যাণার্থে আমাকে বিয়ে করতে চায়। আত্মমানবতার মুক্তি ও মানুষের সেবার লক্ষ্যে আমিও তাকে বিয়ে করতে চাই। তাকে বিয়ে করা, আমার জন্যে জায়েজ হবে কিনা? পবিত্র কোরআন শরীফ ও হাদীস শরীফে এ বিষয়ে কোন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আছে কিনা? থাকলে সেটি কী? পবিত্র কোরআন ও সহীহ্ হাদীসের সূত্র সহ তা উল্লেখ পূর্বক বুঝিয়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ রইলো। পবিত্র কোরআন ও হাদীস শরীফে যদি কোনরুপ নিষেধাজ্ঞা নাই'ই থাকে, তাহলে এটি নাজায়েয হবে কেন? আর যদি নাজায়েজ হয়ও, তাহলে সেটি কখন হবে (?); এবং রোকনের এ নিষেধাজ্ঞার তুল্যমান কী হবে, মানে সেটি কি হারাম হবে (?), না মাকরূহে তাহরীমী হবে, না মাকরূহে তানজীহী হবে এবং কেন হবে? নিম্নে উল্লেখিত বর্ণনা অনুযায়ী এ মাসআলাটির সঠিক প্রতিউত্তর প্রদানের জন্য আবেদন। আপনাদের উত্তর যদি হ্যাঁ-বোধক হয়, মানে আমার পক্ষে বিয়ে করা জায়েজ হয়, তাহলে ইহা আমলে পরিণত করতে আর কোন মাদরাসার বা মুফতি সাহেবদের অনুমতির প্রয়োজন আছে কিনা? অর্থাৎ নূন্যতম কয়টি মাদরাসা বা কয়জন মুফতি/স্কলার থেকে হ্যাঁ বোধক উত্তর পেলে, এ মাসআলাটি ইজমায়ে উম্মত হিসেবে আমল করা যাবে? ইজমায়ে উম্মত না হলে আপনাদের প্রদানকৃত এ উত্তরটি কি আমলে পরিণত করা যাবে না? স্বচ্ছ, ক্লিয়ার কাট ও স্পষ্ট ভাবে এ বিষয় গুলো জানানোর জন্য আবেদন।

জনাব,
সম্মানপূর্বক নিবেদন, আমি, আমার আত্মীয়-স্বজন, পাড়া প্রতিবেশি ও পরিচিত জনদের প্রায় সবাই অনেকটা নিশ্চিত যে, সেই ২০০১ সন থেকে অদ্যাবদি একজন মহিলা জ্বীন, তার দলবল সহ আমার শরীরে সাহর বা ভর করে আছেন। প্রথম প্রথম একে খারাপ মনে করে, আমার আত্মীয়-স্বজন তাকে তাড়ানোর জন্য অনেক চেষ্টা তদবীর করেছিলো। কিন্তু কোন ভাবেই তাকে তাড়াতে পারেননি। যে কারণে, ও যার সূত্র ধরে আজ আমার অর্থ-সম্পদ, চাকুরী-বাকুরী, ব্যবসা-বাণিজ্য সব হারিয়ে এখন আমার ও আমার পরিবারের ৬ জন সদস্যের জীবন প্রায় বিপন্ন হওয়ার পথে। অনেকটাই মানবেতর জীবন-যাপন করছি আমরা।গতকাল রাতেও চালের অভাবে ঘরে রান্না হয়নি। ফলে আমরা ৬ জন সদস্য, আমার শিশু পুত্র-কন্যা সহ রাতে ভাত না খেয়ে ছিলাম। এবং আমার ঘরের টিউবওয়েলটি নষ্ট হয়ে আছে আজ অনেক দিন ধরে। টাকার অভাবে ঠিক করাতে পারছি না। ইত্যাদি। আলহামদুলিল্লাহ! আমি মোটামুটি শিক্ষিত ও যোগ্য লোক। কিন্তু এ পরীর দলটির প্রভাবে আমি কোথাও চাকরি-বাকরি করতে পারি না। যতদূর বুঝতে পেরেছি, আমার সাথে থাকা এ পরী জ্বীনটি আমাকে বিয়ে করতে চায় এবং তার এ বিয়ে করতে চাওয়া, এটা শুধু তার বা আমার বা শুধু আমাদের ব্যক্তিগত প্রয়োজনে নয়; এটা মুসলিম সম্প্রদায় এবং পুরো মানব জাতির কল্যাণার্থে। আমি আরো বুঝতে পেরেছি যে, এ মহিলা জ্বীনটি এতোটাই যোগ্য ও ভালো যে, যা কল্পনাতীত। এবং আমি এও বুঝতে পেরেছি যে, এ পরী জ্বীনগুলো আমাকে ছেড়ে কিছুতেই যাবে না, বা তাদেরকে তাড়ানোও সম্ভব হবে না। আবার আমার সব সময় পাতলা পায়খানা হচ্ছে ও পায়খানার সাথে প্রচুর টাটকা রক্ত যাচ্ছে। কিন্তু কোন ঔষুধে আমায় ধরে না। আবার ঔষুধ খেতে গেলে, এক কি দুই ওয়াক্ত খেলে, পরে ভূলে যাই বা ভূলিয়ে দেয়া হয়। আমার মনে হয়, আমার সাথে থাকা পরীটি ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী বিয়ে করার বৈধতা পেলে, তারপর ওপেন হতে পারে এবং বিয়ের পর হয়তো নিজেই এর চিকিৎসা করতে বা করাতে চায়; নতুবা সে ওপেনই হবে না হয়তো। অথবা তার উদ্দেশ্য হয়তো এই যে, আমাকে সে বৈধ ভাবে বিয়ে করতে চায়, এ জন্যে আমাকে এক অদৃশ্য ও দূর্ভেধ্য বাঁধনে বন্ধী করে রেখেছে সে বা তারা। তাই আমাকে সে ভালো হতে দিচ্ছে না। এখন আপনারা যদি এ পরী জ্বীনের সাথে, আমার বিয়ে (মানুষ ও পরী মিলে সর্বোচ্চ মোট ৪ জন) নাজেয়জই বলেন বা বলতে থাকেন, তাহলে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদেরকে কি জিন্দা মরতে হবে তাহলে? না আপনাদের কঠোরতার কারণে ঈমানী পথ ছেড়ে কাফেরী পথ ধরতে হবে!? (নাউজুবিল্লাহ)। দয়া করে আমার বিষয়ে খবর নিন এবং বুঝতে চেষ্টা করুন যে, এ পরিস্থতিতে আমি গত প্রায় ২৫ বছর চরম এক অদৃশ্য বন্ধী দশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি ও সীমাহীন মানবেতর দিন যাচ্ছে আমাদের। তবুও 
আগে না বুঝলেও, এখন আমি এ পরীটিকে ভালো মনে করছি। কারণ, আলহামদুলিল্লাহ! এর বা এ দলের প্রভাবে আমার কারেক্টার দিন দিন উন্নত হচ্ছে বলেই, আমার কাছে মনে হচ্ছে এবং আমি এও মনে করছি যে, এ পরীটিকে বিয়ে করার মাধ্যমে মুসলমানদের বড় বড় সমস্যা, যেমন ফিলিস্তিন সমস্যা, বা এ জাতীয় ছোট বড় আরো অনেক সমস্যার সমাধানও হতে পারে হয়তো। অথবা যতদূর সম্ভব, মুসলিম সম্প্রদায় ও মানুষের অন্তত কিছু না কিছু উপকার হবে বলে আমার বিশ্বাস হয়েছে। কোন কিছু না হলে অন্তত আমিতো মুক্তি পাবো। এ হিসেবে এখন আমিও তাকে বিয়ে করতে চাই। কিন্তু ইসলাম অনুযায়ী এ বিয়ের বৈধতার স্বীকৃতি না পেলে এরা হয়তো ওপেনই হবে বলে মনে হয় না। আবার আমার কাছে এমনও মনে হয়েছে যে, বর্তমানে এরা সবাই অমুসলিম। কিন্তু আমার হাতেই এরা ইসলাম কবুল করতে চায় এবং মুসলিম, মানব কল্যাণ, তথা আল্লাহর জন্যেই তাদের জীবন উৎস্বর্গ করতে চায়। আপনারা গুগলে নিম্নোক্ত এ ২টি লিংক সার্চ করে এবং এ হতে বিভিন্ন সময়ের পরিস্থিতির আলোকে আমার নিজ হাতে লিখিত আমার কষ্টের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বা এ ব্লগ দুটি হতে আমার প্রচেষ্টাগত সিমিলার কন্টেন্ট সমূহ পড়ে এ বিষয়ে জানতে পারেন। তবে আমি স্বজন বা দল বা সিন্ডিকেট বা গ্রুপ প্রীতীর বিরুদ্বে অবস্থান করতে গিয়ে বা আমার দৈত স্বত্ত্বার পরিচয় দিতে গিয়ে বা আমি ঋণী ও বেশি গরীব বা অসহায় হওয়ার কারণে অথবা নিজকে গোপন রাখার সূত্র হিসেবে অথবা ন্যাচারালি যা মানুষের মাথায় আসার কথা নয়; এ জাতীয় কিছু উচ্চ থেকে উচ্চতর নিয়ত ও প্ল্যান আমার মাথায় ঘুর পাক খাওয়ায় ও তা গোপন রাখতে গিয়ে এবং আমি ব্যক্তিগত ভাবে সরাসরি কোনদলে যোগদান না করায়, অনেকেই আমায় ভূল বুঝতে পারেন। আসলে ইনশা'আল্লাহ ইসলাম ও মানব কল্যাণের বিপরীত, এ মহিলা জ্বীন সম্প্রদায় বা আমি বিন্দুমাত্রও কোনকিছু করবো না। বিষয়টি মাথায় রাখবেন। লিংক ২টি হচ্ছে- jinmanb.blogspot.com ও arifstory1.blogspot.com এছাড়া জ্বীনের সাথে মানুষের বিয়ে হতে পারে কিনা, এ বিষয়ে আমার নিজের অভিব্যক্তি ও যুক্তি সমূহ বুঝতে গুগলে এ লিংকটিও সার্চ করতে পারেন, ও কন্টেন্টটি খুঁজে নিয়ে পড়তে পারেন- fatwaarif1.blogspot.com

এছাড়া আমার এলাকা থেকে আমাকে বুঝতে আমার নিকটস্থ সম্মানিত এ ব্যক্তিদের সাথে বা তাঁদের মাধ্যমে আমার এলাকা থেকে খবর নিতে পারেন- (১) মাওলানা আইউব আলী, সুপার, উত্তর চাঁদপুর হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ) মাদরাসা, লেমুয়া, ফেনী ও খতিব, আমাদের বাজারের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ। বর্তমানে তাঁর এ মাদরাসায় আমি কর্মরত। মোবাঃ ০১৮১৬৫৫৮৩৩৫ (২) মাওলানা আবু তাহের, মুহতামিম, বালুয়া চৌমুহনী ইসলামিয়া আরাবিয়া মাদরাসা, ফেনী। আমাদের সামাজিক মসজিদের খতিব। ফোনঃ ০১৮১৭২৪৫১৩৫ (৩) জনাব শরাফত উল্যাহ চৌধুরী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ফেনী পৌরসভা। আমার সহোদর বড় ভাই। মোবাঃ ০১৭১২৯৯১৪৬৪ (৩) জনাব মফিজ উদ্দিন, ইউপি সচিব। আমার জেঠাতো বড় ভাই। মোবাঃ ০১৮১৮৯৪৫০১৩। বিষয়টির প্রতি উত্তর পাওয়া, এটি আমার জন্য অতীব জরুরী ও গুরুত্বপূর্ণ।

অতএব, মুসলিম ও মানব কল্যাণের দিক বিবেচনা করে এবং আমার ও আমার পরিবারকে এ মানবেতর জীবন থেকে উদ্ধার করতে, ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী যদি কোন সুযোগ থাকে, তবে আমাদেরকে এ বিয়ের অনুমতি প্রদান করতে এবং ইসলাম ধর্মে জ্বীন ও মানুষের মধ্যে বিয়ে জায়েজ কিনা, তা জরুরী ভাবে জানিয়ে আপনাদের প্রাতিষ্ঠানিক সীল ও উত্তর দাতার নাম এবং পরিচয় সহ এর প্রতি উত্তর দিতে মহোদয়ের নিকট বিনীত প্রার্থনা করছি। যেহেতু আমরা মানবেতর জীবন যাপন করছি ও সীমাহীন দূর্ভোগ সয়ে যাচ্ছি। এছাড়া যদি আপনারা এর প্রতি উত্তর দেন, তবে এ প্রতি উত্তরটি ইজমায়ে উম্মত হিসেবে বা সাধারন ভাবে আমল করা যাবে কিনা? তা জানিয়ে কৃতজ্ঞতার পাশে আবদ্ধ করবেন আশা করি।

নিবেদক,

(সৈয়দ আরিফ উল্যাহ) গোবিন্দপুর, হাজীর বাজার, ফেনী। মোবাঃ ০১৭১৮৯৮১৩৪৪, ০১৮২২৮৫৯৯৯১



আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, অদ্য ২০/০৮/২০২৫ ইং তারিখ পর্যন্ত এর কোন লিখিত জবাব আমি পাইনি। এরমধ্যে কয়েকবার যোগাযোগ করা হলে, আমার দরখাস্তটি যিনি গ্রহণ করেছিলেন, তিনি বড় হুজুরের সময় নেই, ইত্যাদি অনীহামূলক জবাব আমাকে দিয়েছেন।



ফপপনঠঁ পটনবড পটটপডঁ

Post a Comment

0 Comments