Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

যাত্রাবাড়ি বড় মাদরাসা হতে ফতোয়ার উত্তর প্রাপ্তি

 জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম মাদানিয়া, যাত্রাবাড়ি, ঢাকা হতে ফতোয়ার উত্তর প্রাপ্তি

[বিঃদ্রঃ এ উত্তরের বিষয়ে, এ পোস্টের নিচের দিকে আমি এর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছি। দয়া করে এ বিষয়ে আমার প্রতিক্রিয়াটি পড়বেন, দেখবেন এবং সম্ভব হলে মন্তব্য করবেন।]  

আপনারা জানেন, আমি ইতিপূর্বে  জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম মাদানিয়া, যাত্রাবাড়ি, ঢাকা- এ মাদরাসায় আমাকে পরীতে আসর করা, আমার এ জটিল সমস্যার বিষয়ে ফতোয়ার উত্তর চেয়ে আবেদন করেছিলাম। এ রকম আবেদন আমি বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ আরো দু'টি মাদরাসা ও একটি সরকারী প্রতিষ্ঠানে (বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন) করেছিলাম। কিন্তু ইসলামি শরীয়ত অনুযায়ী 'পরীকে বিয়ে করা জায়েজ হবে কিনা' এ বিষয়ে কেউ আমাকে উত্তর দেয়নি এবং দিতে চায়নি। যা আমি এ ব্লগে আমার অতীতের পোস্ট সমূহের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানিয়েছি।

 আলহামদুলিল্লাহ! শুধু যাত্রাবাড়ি বড় মাদরাসা, যেখানে বর্তমানে প্রায় ১১০০০ এর উপরে ছাত্র অধ্যয়ন করছে। যে মাদরাসার মুহতামিম মুফতি মাহমুদুল হাসান পুরো বাংলাদেশে অবস্থিত কাউমি অঙ্গনের একজন অভিভাবক। এ মাদরাসা থেকেই আমাকে এ বিষয়ে লিখিত উত্তর প্রদান করা হয়।

এ জন্যে আমি এ মাদরাসার ফতোয়া বিভাগের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। কারণ একদিকে যেমন আমি প্রতি উত্তর পেয়েছি, ঠিক তেমনি, তাদের প্রতি উত্তরের প্রেক্ষিতে, আজকের এ পোস্টের মাধ্যমে আমি কিছু প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে পারছি।

এ মাদরাসায় আমি যেসব প্রশ্ন করেছিলাম, যার প্রেক্ষিতে তাঁরা আমায় এ উত্তর দিলো, প্রথমত আপনাদের জ্ঞাতার্থে আমি তা প্রকাশ করছি। যাতে আপনারা বিষয়টি ভালো ভাবে বুঝতে পারেন। 

এ প্রশ্ন সমূহ দেখতে আপনারা-

এখানে ক্লিক করতে পারেন

আমার এ প্রশ্নগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা আমার সাথে কথা বলে, এর ৩ পৃষ্ঠার একটি প্রতি উত্তর, কুরিয়ারের মাধ্যমে আমার স্থায়ী ঠিকানায় পাঠিয়েছেন। আপনাদেরকে দেখানো, ভবিষ্যত সংরক্ষণ ও রেফারেন্স এবং আমার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে পারার উদ্দেশ্যে তাদের দেয়া প্রতি উত্তর হিসেবে নিম্নে পর পর আমি এ ৩ টি পেইজ প্রকাশ করছি- 

১ম পৃষ্ঠা-

গুগল ড্রাইভ হতে পৃষ্ঠাটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন

২য় পৃষ্ঠা-


গুগল ড্রাইভ হতে পৃষ্ঠাটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন

৩য় পৃষ্ঠা-


গুগল ড্রাইভ হতে পৃষ্ঠাটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন

ফতোয়াটির পিডিএফ কপি পেতে এবং ডাউনলোড করতে-

 এখানে ক্লিকধ করুন

এ বিষয়ে আমার প্রতিক্রিয়া

১ নং উত্তরের বিষয়ে 

মাদরাসা হতে আমাকে উপরে উল্লেখিত যে উত্তরটি দেয়া হয়েছিলো, তা, বা এ রকম সমাধান, ফতোয়ার কিতাব সমূহ হতে আমার পূর্ব থেকেই জানা ছিলো এবং এ দেশের প্রায় সিংহভাগ আলেম-উলামা এ রকমই বলতেছেন, যা আমি জানি; কিন্তু ব্যক্তিগত ভাবে আমি এ প্রশ্ন সমূহের এ ধরনের উত্তরে সন্তুষ্ট নই; মানে, আমি উত্তরপত্রে উল্লেখিত ১ম প্রশ্নের এ ধরনের উত্তর, কোরআন-হাদীস থেকে হতে পারে কিনা বা প্রকৃতই কোরআনে আছে কিনা, তা বুঝতে পারিনি বা এ বিষয়ে আমার বুঝে ধরেনা বা প্রচলিত এ ফতোয়ায়, আমার পরীকে তাড়ানো অথবা তাকে আমার নিকট প্রকাশ্যে নিয়ে আসার অন্তরায় মনে করেছি বিধায়ই, আমি উপরোক্ত মাদরাসায় এ প্রশ্ন সমূহ আবার করেছিলাম এবং মনে করেছিলাম, আমি সীমাহীন ও অসহ্য ভূক্তভূগী হিসেবে তারা আমায় ভিন্নরূপ কোন প্রতি উত্তর প্রদান করবেন। 

কিন্তু তারা আমায় হতাশ করে সে একই ধরনের প্রতি উত্তর প্রদান করলেন। যা বাংলাদেশের হানাফী ফতোয়ার কিতাব সমূহে রয়েছে এবং যা আমার জানা ছিলো ও যে উত্তরটি আপনাদের জ্ঞাতার্থে উপরে আমি প্রকাশ করলাম।

দেখুন, আমি কিন্তু ফতোয়াকে অবজ্ঞা করিনি বা করছি না। আমি শুধু বলছি, আমি এ ফতোয়ার সমাধানটি বুঝতে পারিনি। আপনারা দয়া করে আমায় একটু বুঝান যে, এটি কিভাবে হারাম বা মাকরূহে তাহরীমী হতে পারে? আমি আমার প্রশ্নে এ টুকু বলছিলাম। 

এ বিষয়ে আপনারা এখানে ক্লিক করে এ ভিড়িওটি দেখুন। এ ভিডিওতে সম্মানিত ওয়ায়েজ বলতেছেন, যদি আল্লাহু তা'য়ালা কারো জন্য স্পেশালী ভাবে চায়, তবে তার জন্য জ্বীনের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন জায়েজ হতে পারে। আর আমিও সে কথাই বলছি। এবং এ রকম একটি অনুমোদনই আমি পেতে চেয়েছিলাম। 

অন্যদিকে শাফেয়ী মাযহাবে জ্বীনের সাথে মানুষের বিয়েকে সরাসরি জায়েজ বলা হয়েছে বলেই জানতে পেরেছি। গুগল সার্চ করে আমি নিম্নের তথ্যটি পেয়েছি-

 ❝জিন'কে বিয়ের আহকাম❞

ইমাম শামসুদ্দীন রামলী (১০০৪ হি.) বলেনঃ

أي فيجوز للآدمي نكاح الجنية وعكسه.

মানুষের জন্য জিন্নি (মহিলা জিন) এর সাথে বিবাহ করা এবং বিপরীতভাবে (পুরুষ জিন কর্তৃক মহিলাকে বিবাহ করা) জায়েজ।

أحكام النكاح للإنسي منهما فينتقض

আর তাদের উভয়ের (মানুষ ও জিন) ক্ষেত্রে বিবাহের বিধানাবলী প্রমাণিত, সুতরাং জিন্নির স্পর্শে মানুষের ওযু ভঙ্গ হবে।

 ومنه أنه يجب عليه أن ينفق عليها ما ينفقه على الآدمية لو كانت زوجة.

স্বামীর উপর আবশ্যক হল যে, সে জিন্নি উপর সেই পরিমাণ খরচ করবে যা সে মানুষ স্ত্রীর উপর করত যদি স্ত্রী মানুষ হত।

وأما الجني منهما فلا يقضى عليه بأحكامنا.

তবে জিন'দের মধ্য থেকে কেউ যদি (মানুষের সাথে বিবাহিত হয়) তবে তাদের (জিনদের) উপর আমাদের বিধানাবলী প্রয়োগ করা যাবে না।

📚 [নিহায়াতুল মুহতাজ ইলা শারহিল মিনহাজ, রামলী ৬/২৭১ ]

📝 নোট : ৪ মাযহাবের মধ্যে শুধু শাফেয়ী মাযহাবের জিন বিয়ে জায়েজ  এবং হাম্বলীদের মধ্যে শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (৭২৮ হি.) এটিকে জায়েজ বলেছেন, কিন্তু এটি হাম্বলী মাযহাবের মুতামাদ নয়।

🖋️ Md. Nur Habib 

#مكتبة_هشام #maktabatuhisham

এখানে কিছু ক্ষেত্রে তাদের উত্তর প্রদান আমার প্রশ্ন অনুযায়ীও হয়নি। যেমন, তারা যে প্রথম উত্তরটি দিয়েছে, এখানে আমি তাদের প্রতি প্রশ্ন রেখেছিলাম, ফতোয়ার কিতাব সমূহে এবং আলেমগণ যে, জ্বীন/পরীর সাথে মানুষের বিয়ে হারাম বা মাকরূহে তাহরীমী সাব্যস্ত করেছেন বা করতেছেন; তা যেহেতু মানুষ ও জ্বীন জাতির কোন কাজকে হারাম বা মাকরূহে তাহরীমী সাব্যস্ত করতে পারে একমাত্র আল কোরআনের আয়াত বা সহীহ্ হাদীসের সরাসরি নিষেধাজ্ঞা দ্বারা। তাই আমি তাদের প্রতি সে আয়াতটি ও হাদীসটি বা আয়াত বা হাদীস সমূহ উল্লেখ করে, এবং তা বিশ্লেষণ করে বুঝিয়ে দিতে আবেদন রেখেছিলাম যে, উপরোক্ত আয়াতে কারীমা দ্বারা কিভাবে এ বিষয়টি হারাম বা মাকরূহে তাহরীমী সাব্যস্ত হতে পারে!

মানুষ এবং জ্বীন, এ দু'জাতই আল্লাহর সৃষ্টি! তাই, আল্লাহ'ই ভালো জানেন কার সাথে তিনি তার সৃষ্ট জীবের বিয়ে সাব্যস্ত করবেন। কথার কথা তিনি যদি গরু-ছাগলের সাথেও মানুষের বিয়ে সাব্যস্ত করেন বা করতেন, তবে বিনা বাক্যে এবং সাথে সাথে আমাদেরকে তা মেনে নিতে হতো! যেহেতু বান্দা যার, সিদ্ধান্তও হবে তার! তাছাড়া আল্লাহর জ্ঞান, উদ্দেশ্য ও হেকমত মানুষের বোঝার কথাও না। যেহেতু আল্লাহ মানুষকে খুব সামান্যতম জ্ঞান দিয়েছেন।

এ জন্যেই হারাম এবং মাকরূহে তাহরীমী সাব্যস্ত হতে পারে বা হয় একমাত্র কোরআনের আয়াত দিয়ে। মানুষের জ্ঞান-গরীমা বা বিবেক দিয়ে নয়। তাহলে, জ্বীন এক সত্ত্বা, মানুষ আরেক সত্ত্বা; এক জাতীর সাথে আরেক জাতীর বিয়ে হতে পারে না; মানুষের বিবেক নির্ভর এ জাতীয় কথা গুলোর অবতারণা কেন?

এখানে কোরআনের বিধান এবং নছীহতের ক্ষেত্রে জ্বীন এবং মানুষকে ভিন্ন ভাবে দেখার সুযোগ কই? আল কোরআন!! এটি কি মানুষ ও জ্বীন, উভয় জাতীর জন্য নয়? কোরআন কর্তৃক প্রদত্ত বিয়ের নছিহত ও বিধানাবলী কি উভয় জাতীর জন্য হবে না!? তাহলে আপনারা পৃথক করবেন কেন?

কোরআনের ঘোষণা অনুযায়ী যদি "আমি তোমাদের মধ্য হতে তোমাদের সঙ্গীনীদেরকে সৃষ্টি করেছি", এখানে তোমাদের বলতে যদি উভয় জাতিকেই বোঝায়, যেহেতু কোরআনের হুকুম ও নছিহত উভয় জাতির জন্য; তাহলে ঘোষণা যেহেতু দুই জাতির জন্য একসাথে হবে; এর ফলাফলওতো দুই জাতির জন্য একসাথেই হবে; এখানে আবার আন্ডার ক্লাসিফাইড হবে কেন? বা কোন্ আইন বলে আন্ডার ক্লাসিফাইড হবে? যেখানে কোরআনের অন্যান্য ঘোষণা গুলোকে দুই জাতির জন্য একসাথে বিবেচনা করা হয়!? যেমন কোরআন বলছে, আমি তোমাদের মধ্য হতেই তোমাদের জন্য এক উম্মী নবী (সাঃ) প্রেরণ করেছি। এখানে তোমাদের বলতে মানুষেরা উভয় জাতিকেই বুঝে; কিন্তু বিয়ে-শাদীর ক্ষেত্রে তোমাদের বলতে মানুষেরা শুধু মানব জাতি বুঝে! মানুষের জ্ঞানের মধ্যে এতো বৈষম্য কেন আমি বুঝতে পারি না।

অন্যদিকে আবার এ ঘোষণা যদি দুই জাতিকে আলাদা করে বোঝাতো, তাহলে কোরআন কর্তৃক সূরা নিসার মধ্যে ১৪টি সম্পর্কের ক্ষেত্রে বৈবাহিক সম্পর্ককে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে; কিন্তু কই একবারওতো জ্বীনের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করা যাবে না; এ কথা বলা হয়নি। 

তাহলে কোরআন ও হাদীস দ্বারা এটি কিভাবে হারাম বা মাকরূহে তাহরীমী সাব্যস্ত হতে পারে, তা আমার বুঝে ধরে না!

আলোচ্য ফতোয়ায় আমি তাদের প্রতি এতো প্রমাণপঞ্জী চাইনি। আর হারাম বা মাকরূহে তাহরীমী সাব্যস্ত করার জন্য এতো প্রমাণ পঞ্জী বা তথ্যসূত্রের প্রয়োজনও নাই।

এখানে যে আয়াতটির মাধ্যমে তাদের নির্ণীত এ বিধানটি প্রমাণ করা যায়, তা লিখে এবং উক্ত আয়াত দ্বারা কিভাবে, এ বিধান সাব্যস্ত করা যায়, তা বিশ্লষণ করে আমাকে বুঝিয়ে দিতে পারলেই হতো। কিন্তু তারা তা করেননি। তাদের এতো প্রমাণ পঞ্জীর উল্লেখ, যা আমি বাহুল্য বলেই মনে করছি।

পরিশেষে ১ নং উত্তরের ক্ষেত্রে আমি এই বলছি যে, যেহেতু তাদের উত্তর আমার প্রশ্ন অনুযায়ী হয়নি; তাই এটি আমার কোন কাজে আসবে না এবং এর মাধ্যমে আমার জানতে চাওয়া সমস্যার সমাধান পূর্ণ হয়নি। ফলে আমি তাদের উত্তর গ্রহণ করতে পারিনি; যেহেতু আমাকে তারা বুঝাতে পারেননি। অতএব, ইনশা'আল্লাহ! এ বিষয়ে আমি অন্য মুফতি বা মাদরাসায় আফিল করবো; মানে পুনরায় জানতে চাইবো। 

সে সাথে আমি সবাইকে জানিয়ে রাখছি যে, জ্বীনের সাথে মানুষের বিয়েকে আমি জায়েজ মনে করি এবং কিভাবে মনে করি বা কোন্ কোন্ যুক্তিতে মনে করি; তা এখানে ক্লিক করে এবং এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে এ বিষয়ে আপনারা আমার স্টেটম্যান্টটি বুঝে নিতে পারেন। এ বিষয়ে আমার মানসিক অবস্থান আপনাদের সবাইকে জানিয়ে দিলাম।

২ নং উত্তরের বিষয়ে

আমার এ প্রশ্নটি ছিলো-

 "বর্তমান সময়ে আমি কোর্ট এফিডেভিটের মাধ্যমে দাসী ক্রয় করতে পারবো কিনা? এবং দাসী ক্রয় করার পরে আমি তাদেরকে বিন্দুমাত্র কষ্টও না দিয়ে এবং পৃথিবীর মহা সুখ দেয়ার চেষ্টা করে, আমার মনোরঞ্জনে এবং নির্দিষ্ট রুলস ও রেজুলেশন মান্য করার মাধ্যমে, আমার ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক অন্যান্য কর্মে ব্যবহার করতে পারবো কিনা? এবং বাবা হওয়ার উদ্দেশ্যে স্ত্রীর মতো ভালোবেসে তাদের সারা জীবনের দায়িত্ব নিতে পারবো কিনা?"

আমার এ প্রশ্নের প্রেক্ষিতে উনারা যে উত্তর দিয়েছেন, যা উপরে ২য় পৃষ্ঠার মধ্যে রয়েছে, আপনারা প্রয়োজনে আবার দেখে নিতে পারেন।

উনারা উত্তর দিয়েছেন, দাসী প্রথাটি বিলুপ্তির পথে।

আমার প্রশ্ন ছিলো এফিডেভিটের মাধ্যমে দাসী ক্রয় করতে পারবো কিনা? হয় হ্যাঁ, নয় না। কিন্তু উনারা এভাবে উত্তর দেননি।

তবে উনারা উত্তর দিয়েছেন কর্মের জন্য দাসী ক্রয় করা যাবে না। কর্মচারী যতই গরীব হোক সে স্বাধীন।

আমি মনে করি, উনারা এ স্থলে যে উত্তরটি দিয়েছেন, তা হয় সম্পূর্ণ ভূল, না হয় ছলনা মূলক উত্তর; না হয় তারা আমার প্রশ্নই বুঝেননি।

যেহেতু তৎকালীন সময়ে দাস-দাসী ক্রয় করা হতো কাজের জন্য! যদি কাজের জন্যেই ক্রয়-বিক্রয় করা না হতো, তবে কিসের জন্য ক্রয়-বিক্রয় হতো? কাজের জন্য ক্রয়-বিক্রয় না হলে, তাহলে, দাস-দাসীদেরকে শুধু অকর্মা রাখার জন্য ক্রয়-বিক্রয় হতো!? রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এঁর সাহাবীগণ (রাঃ) বা তাবেঈ বা তবে-তাবেঈ (রহঃ) গণ যদি কাজের জন্যই দাস-দাসী ক্রয় না করতো, তবে কী কাজে তাঁরা দাস-দাসী ক্রয় করতো, তা আমার বুঝে আসে না। এ দেশে ফতোয়া দেয়ার পরতো আর, তাদের নিকট আফিল করার সুযোগ থাকে না; না হয় তাদের নিকট আমি জানতে চাইতাম, কোন দাস-দাসী ক্রয় করতে, তাদের সাথে কি কোনরূপ চুক্তি থাকতো না!? তাকে দিয়ে এই কাজ করানো হবে, সে পারবে কিনা!! এ রকম!?

যদি এমনটিই না হতো, তাহলে ক্রয় বিক্রয়ের মানে কী? ক্রয়-বিক্রয়ের মানেইতো হলো কিছু শর্ত পূরণের চুক্তিতে বস্তু হস্তান্তরিত হওয়া। তাহলে দাস-দাসী ক্রয়-বিক্রয়ে শর্ত বা চুক্তি গুলো কী থাকতো? বা কোন না কোন প্রয়োজনেইতো ক্রয় করা হতো, তাই না? তাহলে সে প্রয়োজনীয়তা গুলো কী ছিলো? 

আর ধরুন, আমি যখন দাসীদেরকে এ এ কাজে এফিডেভিট করে সারাজীবনের জন্য স্ত্রীর মতো ভালোবেসে ক্রয় করতে চাচ্ছি; তখন উনাদের উত্তর হলো, কর্মচারী যতই গরীব হোক সে স্বাধীন! আরে ভাই, আমিতো বর্তমান সময়কার নিয়ম মোতাবেক কর্মচারী নিয়োগ দিতে চাইনি। আমি চেয়েছি এফিডেভিটের মাধ্যমে, সারা জীবনের দায়িত্ব নিয়ে নির্দিষ্ট কর্মের জন্য দাসী ক্রয় করতে। উনারা হুট করে উত্তর দিয়ে দিলেন, কর্মচারী স্বাধীন, উনারা দাসী হতে পারেন না।

এখানে আমিতো বর্তমান সময়কার মতো কর্মচারী চাইনি; বরং দাসীদেরকে দিয়ে কর্ম করাতে চেয়েছি। আমিতো বর্তমান নিয়ম মোতাবেক স্বাধীন কর্মচারী নিয়োগ দিতে চাইনি, আমি চেয়েছি, আমার ক্রয়কৃত হিসেবে, সারা জীবনের জন্য অধীন কর্মী বা দাসী নিয়োগ দিতে।

এটা নাজায়েজ হবে কেন? এটা যদি নাজায়েজই হয়, তবে তাদের কথা অনুযায়ী কোরআনে বর্ণীত দাসী কারা!? তাদেরকে কি কাজের জন্য কেনা যাবে না!? তবে কী জন্য তাদেরকে কিনতে হবে?

অনেকে হয়তো বলতে পারেন, দাসী বলতে, যুদ্ধে বিজয় লাভের পর, যেহেতু শিশু ও নারী হত্যা নিষেধ, তাই পরাজিত কাফের পক্ষের, বন্ধী নারীদেরকে গণিমতের মাল হিসেবে প্রাপ্ত হিসেবে বুঝায়!

কিন্তু ভায়েরা আমার, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ও সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) এঁর যুগে যেমনটি যুদ্ধলব্ধ নারীদেরকে দাসী বলা হত; ঠিক তেমনি ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমেও দাস-দাসী সাব্যস্ত হতো। অর্থাৎ তখনকার সময়ে মানুষ কেনা বেচা হতো। মানে কোন মহিলাকে কিনে নিয়ে আসলে সেও দাসী বা বাঁদি হিসেবেই সাব্যস্ত হতো। 

অতএব, উপরে উল্লেখিত, তাদের এ ধরনের উত্তর আমি বুঝতে পারিনি বিধায়, আমি তা গ্রহণ করতে পারলাম না এবং এ প্রশ্নটি আমি অন্য মাদরাসায় বা অন্য মুফতির নিকট আবার করবো?

৩য় উত্তরের বিষয়ে

আমার এ প্রশ্নটি ছিলো-

"যদিও বাস্তবে আসতে পারে, আবার নাও আসতে পারে; তবুও জ্বীনেরা মানুষের সাথে মিলেমিশে, মানুষের পাশা-পাশি মানুষের মতো তাদের নিজের নামে, জায়গা-জমি ক্রয় করে এবং মানুষের মতো ঘরবাড়ি করে, অফিস আদালত ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে, এ পৃথিবীতে মানব আকৃতিতে ও তাদের অন্যান্য আকৃতিতে বসবাস করতে কোরআন ও হাদীস অনুযায়ী কোন নিষেধাজ্ঞা আছে কিনা? থাকলে সে আয়াত ও হাদীসটি উল্লেখ পূর্বক, তা বুঝিয়ে দেয়া যে, কিভাবে এ আয়াতে নিষেধ করা হলো এবং এ আয়াত বা হাদীস দ্বারা কেমন করে তা মাকরূহে তাহরীমী বা হারাম হতে পারে?

আর যদি কোন আয়াতে বা হাদীসে এ বিষয়টির বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা নাই'ই থাকে, তাহলে কেমন করে মানুষের সাথে, মানুষের পাশাপাশি, মানুষদের মতো জ্বীনদের অবস্থান, ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও চাকুরি-বাকুরি নিষিদ্ধ হতে পারে!?"

উনারা আমার এ প্রশ্নের উত্তর দেননি। উনারা উত্তর দিয়েছেন, জ্বীনদের বসবাসের স্থান পাহাড় পর্বত, সমূদ্র এবং বদকারদের জায়গা।

কিন্তু আমার প্রশ্ন সেটি ছিলো না। আমার প্রশ্ন ছিলো, যেহেতু মানুষের সাথে, মানুষের পাশাপাশি মানুষের মত করে জ্বীনদের বসবাস ও কর্মের বিষয়ে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই; তাহলে তা জায়েজ হবে না কেন? এবং এটি জায়েজ কিনা?

আর তাই আমার এ প্রশ্নের উত্তর উনারা না দেয়ায়, তাদের প্রদত্ত এ উত্তর আমার কোন কাজে আসেনি। অতএব, ইনশা'আল্লাহ, আমি এ বিষয়টি জানার জন্য অন্য মাদরাসায় বা অন্যান্য মুফতি সাহেবদের নিকট আবারো প্রশ্ন করবো।

পরিশেষে বলতে চাই, আসলে আমার জীবনের জন্য, সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার জন্য বিষয়টি অতীব গুরতর একটি সমস্যা। আপনাকে হয়তো জ্বীনে ধরে নাই, যার জন্য বিষয়টি আসলে কতটুকু সিরিয়াস তা আপনি হয়তো অনুধাবন করতে পারছেন না।

আমি কী মানুষ ছিলাম! আর কী হয়ে গেলাম! এবং বর্তমানে আমার দিন কিভাবে যাচ্ছে! তা শুধু আমিই জানি! আপনি কি জানেন আমার অবস্থা? আমাকে উপর দিয়ে দেখে কি, আপনি আমার দুঃখ-কষ্ট গুলো বুঝতে পারেন!?

আমার যোগ্যতা এবং মানুষের জন্য ভালো কিছু করার উপযোগিতা ও প্রবল ইচ্ছা থাকা স্বত্ত্বেও আমি আজ বেকার হয়ে সীমাহীন অভাবের মধ্যে আছি এবং পরিবারের সদস্যদেরকে নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছি! এবং আমার ও আমার ছেলেমেয়েদের বেঁচে থাকার জন্য কোনরূপ ভবিষ্যত অর্থনৈতিক অবস্থান বা তহবিল আমার নাই বা আমি দেখতে পাচ্ছি না!

আমি নিজকে মুসলিম দাবী করছি, আমার পরিবার ও বংশকে ভালোবেসে তাদের সাথে থাকতে চেয়েছি এবং থাকছি। অথচ তারা আমাকে কাফের জ্বীন সাথে আছে বলে বয়কট করেছে! গত ২৪ বছর পর্যন্ত যা আমি তাদের এ মানসিকতা জানতামও না, বুঝতেও পারিনি! শুধুই বৃথাই তাদেরকে জড়িয়ে ধরতে চেয়েছি, আর তারা আমায় গ্রহণ করেননি, বরং অবজ্ঞা, অবহেলা করেছেন।

একই ভাবে এ দেশে অবস্থান রত আমার পুরো মুসলিম সম্প্রদায় (হানাফি মাযহাব অনুযায়ী), হয় তারা সবাই আমাকে পাগল মনে করছে! না হয় কাফের মনে করছে! যেহেতু আমি হারামকে হারাম না বলে, তা আমল করতে চাচ্ছি!

এমতাবস্থায় একজন মুমেন মানুষ, যদি একজনকেও আপন না পায়; সীমাহীন অভাব আর কষ্টের মধ্য দিয়ে যে পরিবারের সদস্যদের লোড নেয়, অথচ সে পরিবারের সদস্যরাই তার কনসেপশান সমূহকে এক্সেপ্ট না করে এবং মানসিক ভাবে তাকে মেনে না নেয় ও দূর দূর করে; তাহলে কাউকেই আপন না পেয়ে (আমার মানসিকতার), একজন মানুষ একাকী বাঁচে কিভাবে বলেন? কাকে নিয়ে সে বাঁচতে পারে বলেন? এ কি এক ভয়ানক মানসিক যন্ত্রণা না!!?? 

একটু শুনুন, যার কারণে, গত ২৫ বছরে আমার অর্থ-সম্পদ, জায়গা-জমি সব শেষ হয়ে আমি প্রায় ফকির হয়ে গিয়েছি! আমি আজ নিঃস্ব! মানুষও হারিয়েছি! সম্পদও হারিয়েছি!

বর্তমানে অবস্থা এমন যে, আমি কিছু বললেও আপনারা শুনতে চান না; এবং লিখলেও আপনারা পড়তে চান না; আমি যেন আপনাদের নিকট মূল্যহীন কিছু একটা!

আমার সার্টিফিকেট সমূহ কোন কাজে আসেনি! আমার যৌবন কাল গিয়েছে বৃথা হয়ে! অন্যের বোঝার পাত্র হয়ে! ইচ্ছা থাকা স্বত্ত্বেও পারিনি আর কোন সার্টিফিকেট অর্জন করতে!

পেয়েছি শুধু মানুষের কাছ থেকে ধিক্কার; হয়েছি নিপীড়িত, নির্যাতিত, মজলুম!

আমার যোগ্যতা থাকা শর্তেও আজ পাইনা কোন কর্ম! শরীরে বেঁধেছে নানাবিধ জ্বীন মিশ্রিত রোগ। যে রোগ গুলো ঔষুধ খেলে সুস্থ না হয়ে, আরো মনে হয় বাড়ে! মানে, অনেক সময় ঔষুধেও মনে হয়, তেমন কোন কাজ হয় না এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে মনে হয় উল্টো ক্ষতি করছে!

বর্তমানে পরিবারের সদস্যদেরকে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে কোনমতে জীবন যাচ্ছে!

গতকাল আমার সাবেক সমিতির অফিস ঘরে আমার পানির মোটরটি মেরামত করার জন্য এক হিন্দু মিস্ত্রী আসলে আমি মানুষের সাথে রসিকতা করে বলেছিলাম; ঐ হিন্দু মিস্ত্রীকে দেখিয়ে মানুষকে বলছিলাম, দেখুন, দেখুন, আকাশ থেক আমার পরী এসে গেছে! এখন একে কোন্ সূত্রে আমার ঘরে রাখবো!? আপনাদের মাঝে কোন্ আইন মোতাবেক সে আমার সাথে থাকবে?

তার মানে, ঠিক আপনারা যখন, জ্বীনদের সাথে বিয়ে-শাদীকে অবৈধ বলছেন; তখন আপনাদের এ মাযহাবে (হানাফী মাযহাব) আমি আর থাকবো কী করে? কারণ আপনারাতো জ্বীনের সাথে বিয়ে শাদীকে হারাম বলেন! অথচ নারী জ্বিন, একজন সুন্দরী মানুষের রূপ ধরে মানুষ রূপে আগত হতে পারে সেটি বলেন! এবং এ নারী জ্বীনের সংস্পর্শে অযু যাবে, তার সাথে প্রেম, প্রীতীর আকর্ষণ স্বাভাবিক ও সহবাসও সম্ভব সেটিও বলেন! তাহলে হারামকে হালাল জেনে ঈমান হারা বা পাগল হয়ে, আমি আপনাদের মাঝে, আপনাদের সাথে থাকবো কিভাবে!?

তার উপর আপনারা; জ্বীনেরা জায়গা-জমি কিনে, ঘর-বাড়ি-অফিস-ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, মানুষের পাশা-পাশী নির্মাণ করে সম্মানের সহিত বসবাস করাটাকেও মেনে নিতে পারছেন না! জ্বীন সেতো যেনো এক অপরাধের কারখানা! যেন শুধু পাপের আস্তানা! তারাতো মনেহয় সম্মানীত হয়ে, পূণ্যবান হয়ে আপনাদের সাথে থাকার যোগ্যতা রাখে না! মানে তারা যে সম্মানের পাত্র হতে পারে, পূণ্যবান হতে পারে, এ কনসেপশান আপনাদের প্রায় নেই বললেই চলে!

তাই তারা মানুষের সাথে থাকতে পারবে কিনা; এ প্রশ্নেও, আপনাদের সাথে থাকার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন; আপনারা এতেও আগ্রহ ও সম্মানের সহিত রাজী নেই; উপরের ৩য় পৃষ্ঠার উত্তরে দেখুন, আপনাদের এ হুজুরেরা এ রকমই ফতোয়া দিয়েছে।

তখন আমিও আপনাদেরকে আগাম ইঙ্গিত দিচ্ছি যে, যদি আমার সাথের এ পরী বা পরীদেরকে বা এ জ্বীন সম্প্রদায়কে আমার ও আপনাদের নিকট আনতে ও ওপেন করতে পারি, তবে যেহেতু সে (পরী) ও তার সম্প্রদায়কে আমার সাথে রাখার কোন বৈধ সূত্রই আপনারা অনুমোদন দিচ্ছেন না; তাহলে আমিও যেখানকার মানুষ বা যে মাযহাবের বা যে দেশের মানুষ, আমার এ কার্যের বৈধতা দেয় বা দিবে, আমি সেখানে চলে যাব! যদি তারা মুমেন হয় বা ইসলাম কবুল করে! তখন আমাকে দোষ দিতে পারবেন না!

দেখুন, এখানে আমি চলে যাবো বললে ভূল হবে; কার্যত আপনারাই আমাকে তাড়িয়ে দিচ্ছেন! 

আজ ২৫ বছর আমি এ জ্বীন / পরী নিয়ে ভূগছি। অথচ আপনারা বৈধ ভাবে আসার ও সম্মানের সহিত থাকার কোন আগ্রহ বা ইচ্ছাই দেখাচ্ছেন না এবং ভবিষ্যতেও ধর্মীয় ভাবে এমন কোন বৈধতার সুযোগও আপনাদের কাছে নেই যে, তারা আসলে সম্মানের সহিত থাকতে পারবে, আমাকে এ স্ট্যাটমেন্ট প্রদান করবেন; যেহেতু এ পর্যন্ত একটা ফতোয়াও আমার পক্ষে আসেনি! তাহলে আপনাদের মাঝে, আপনাদের চোখে আমি ভালো বা মুমেন হিসেবে থাকবো কিভাবে বলেন? 

বলেন, এ কাজ করলে, তবে কি আমি কাফের? আপনি কি জানেন না! হারামকে হালাল জানলে বা অবজ্ঞা করলে সে যে কাফের হয়ে যায়! তাহলে আমাকে মুমেন বলতে হলে, আপনাদের মাযহাবী ফতোয়াকে পরিহার করতে হবে!? আমার মতো পারবেন!?

আমার এ পরীতো আমাকে ছাড়বেইনা হয়তো, আর সে যদি মুমেনা হিসেবে আমার নিকট, আমার সাথে থাকতে চায়, তাহলে আমিও তাকে হারাতে চাই না। 

তাহলে যেখানে আপনারা সবাই এক রকম, সবাই এক মন-মানসিকতার, সেখানে আমি আপনাদের চোখে হারাম কাজ করে, ব্যভিচারী হয়ে (নাউজুবিল্লাহ) বাঁচবো কিভাবে বলেন?

এ বিষয়ে আজকে শুধু আপনাদেরকে ইঙ্গিত প্রদান করলাম। এবং এ বিষয়ে আপনাদের পরামর্শ কামনা করলাম। আমাকে বন্ধু মনে করলে, তাহলে যদি পারেন এ পোস্টে কমেন্টস করে, আমাকে কাউন্সিলিং করুন। আমাকে বুঝান।

ধন্যবাদ। সকলে ভালো থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।






নপফটনন ফফঠনঁ হবফট

Post a Comment

0 Comments